কক্সবাজার, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

ভারত থেকে পালিয়ে আসা এক পরিবারসহ ৯ রোহিঙ্গা আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি::

কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আলিখালী এবং চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভারত থেকে পালিয়ে আসা একই পরিবারের ৭ জনসহ ৯ জনকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর সদস্যরা। তারা ভারতের জম্মু কাশ্মীর শরনার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসেছে বলে জানা যায়। আজ সন্ধ্যায় গণমাধ্যম পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে ক্যাম্প নিরীক্ষনে জানা যায়, গোপনে উপজেলাী হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী ক্যাম্পে বসবাসরত মেয়ে গুল মরিজান (৪০), স্বামী রশীদ আহমদ (ঘর-৩২, ব্লক-ডি/২০) -তে বসবাস করে আসছিল।

ভারতের জম্মু কাশ্মীর হতে অজ্ঞাত দালালের মাধ্যমে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এক বৃদ্ধ দম্পতি। ভোরে কক্সবাজার আগমন পূর্বক রোহিঙ্গা মো. জামাল (৬৫), পিতা-সাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী মোসা. নূর জাহানকে (৬০) আটক করতে সক্ষম হয় এপিবিএন এর সদস্যরা।

সরেজমিনে বর্ণিত ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে সত্যতা পেয়ে বিষয়টি ক্যাম্প সিআইসিকে অবহিত করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্ণিত রোহিঙ্গাদ্বয় ক্যাম্প-২৩ (শামলাপুর) হতে ২০১৮ সালে ভারতে গমন পূর্বক জম্মু কাশ্মীরের শরণার্থী ক্যাম্পে চার বছর বসবাস করে পূনরায় অজ্ঞাত দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে আগমন করেছে।

এছাড়া অপরদিকে একইদিন বিকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিরীক্ষণে জানা যায়, ভারতের জম্মু কাশ্মীর শরনার্থী ক্যাম্প হতে একই পরিবারের সাতজন রোহিঙ্গা- গুল বাহার (৬০), আবু তাহের (২৭), হামিদা বেগম (২৪), আবুল মনসুর (২১), ইয়াছমিন (১৮), খুশিদা (০৩) এবং আয়েশা চাকমারকুল ক্যাম্পে প্রবেশ করে। পরে এপিবিএন এর সদস্যরা তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায় তারা অজ্ঞাত দালালের মাধ্যমে সিলেট মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে গুল বাহারের ছেলে আবুল কাশেমের (২৫) বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

তিনি আরো জানান, আটককৃত রোহিঙ্গাদের পরবর্তীতে সিআইসির নির্দেশনায় বণিত একই পরিবারের ৭ জনসহ ৯ রোহিঙ্গাকে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: